দ্বিতীয় পর্ব
সোহান জাগ্রত হয়েই বলতে লাগলো কে তোমি?
কোথায় থেকে এসেছো এখানে কেন?
উত্তর দিচ্ছো না কেন?
শনশন বাতাসের সাথে উড়ে আসা কাশফুলের খসড়া শুকনো ফুলের অংশ রুপার কর্ণপাতে স্পর্শ হতেই রুপা তাড়াহুড়া করে জেগে উঠে অচেনা কিশোরের সামনে থেকে দৌড়ে বাড়িতে চলে যায়। এই চলে যাওয়া সেই চলে যাওনা নয় সোহানের বুকে মধ্যে যেন পূবালীর বাতাসে প্রেমের ঢেউ বইছে ।এক ফালি দেখার রুপার চেহেরা যেন নানা সুখের রূপ ধারণ করে আকাশের রংধনুকেও হার মানিয়ে সোহানের বুকে ভেসে উঠছে একটা বৃহৎ প্রেমের রংধনু। আকাশের রংধনু তার সাময়িক সময় ফুরিয়ে গেলে সবই শেষ কিন্তু রুপার চেহেরায় যে রংধনু সোহানের বুকে উঠেছে সেটা যেন আর অদৃশ্য হচ্ছে না বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে রুপার রূপকে। কল্পনায় চলে দিন, দিনের পর মাস তবুও সোহান রুপার প্রতি আরও অস্থির হয়ে যাচ্ছে ।
একদিন সেই নদীর পাড়ে একই যায়গায় রুপাকে দেখে সোহান এগিয়ে যায় রুপা তার উড়নাটি দিয়ে মুখ ঠেকে রেখে সোহানের হাজার প্রেম আর্জি কথা শুনে রুপা চলে যেতে চাইলে সোহান তার নমনীয় হাতটি শক্তি করে চেপে ধরে বলে,
সোহান : ঐই দিন যখন দেখেছি তোমায় হারিয়েছিলাম এতদিন তোমার মাঝেই আজ তোমি এখানে একা আমি তোমার সঙ্গী হতে এসেছি তোমার একাকীত্ব অবসান করতে এসেছি তোমার একাময় জীবনের সুখ টেনে আনার জন্য আমার অতৃপ্ত হৃদয়ের বাগানের শত শতাব্দীর ধরে জন্ম নেওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্নেহ মায়া মমতার ভালোবাসার বিন্দু গুলো একত্রিত হয়ে আজ তোমাকে প্রেম নিবেদন করছে
রুপা :আপনি কেন এমন করে কথা বলছেন?
আপনার কথা গুলো শুনে যেন আমার বুকের শক্ত প্রেমের দেওয়ালটি ভেঙ্গে ভালোবাসা বেরিয়ে যাচ্ছে ।
কেন আপনার কথা আমাকে এতো দূর্বল করে তুলে? আপনার কথার বাঁকে আমি হারিয়ে যায় বারবার মিশে যেতে চাই আপনার সাথে ।সোহান আরেকটু কাছে আসুন বাহুবন্ধনে জড়িয়ে ধরে থাকে ।বুকের অদ্রি সমান ভালোবাসা দিয়ে আরও কাছে পেতে চাই।
সোহান :রুপা শুনো আজ. ...........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন